নিজস্ব প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় নিজ স্ত্রীকে উস্কিয়ে দিয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নজিপুর ঘোষপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত হিমাংশু শেখর পরামানিকের ছেলে টগর প্রামানিক তার নিজ স্বার্থ চরিতার্থের জন্য তার স্ত্রী নমিতা রানীকে হাত করে স্বীয় ভাস্তা আশিষ প্রামনিকের সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরী করায়। পরবর্তী সময়ে নমিতা ও আশিষের প্রেমভাব গভীর হলে তারা দুজনে পালিয়ে যায়। কিছুদিন পর আষিশ নমিতাকে রেখে সে স্থান হতে চলে যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবার নিজের কাছে নিয়ে আসবে বলে নমিতাকে নানা ভাবে লোভ লালসার বেড়াজালে বন্দী করে। নমিতা তার ভুল বুঝতে পেরে স্বামীর কাছে ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।সেসময় নমিতার সাথে তার স্বামী টগর নিয়মিত ফোনে কথা বলে। নমিতাকে বাড়ীতে তুলবে মর্মে আশিষর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করার জন্য শর্ত দাখিল করে। নমিতা তার স্বামীকে বিশ্বাস করে তার কাছে ফিরে আসার জন্য গত ১৬ জুলাই ২০২০ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
মামলা করার পরবর্তী সময়ে তাকে বাড়ীতে তোলার বিষয়ে তার স্বামীকে বার বার অনুরোধ করলে টগর প্রামানিক কৌশলে তা এড়িয়ে যায় এবং বাড়িতে তুলতে নানা টাল বাহানা শুরু করে। এদিকে টগর তার প্রথম স্ত্রী নমিতাকে ঠকিয়ে আবার দ্বিতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়। বিষয়টি নমিতা জানতে পেরে স্থানীয় লোকজনদের জানালে টগরের সাথে বিষয় টি নিয়ে কথা বলেন স্থানীয়রা। টগর বিষয়গুলো স্বীকার করে তার স্ত্রী নমিতাকে বাড়ীতে তুলবে মর্মে ১০ দিন সময় চায়। ১০ দিন পার হয়ে গেলে টগর কৌশলে বাড়ী তালা বন্দী করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই দিন বিষয়টি নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত থাকলেও খোঁজ মেলেনি টগরের।
পরবর্তী সময়ে টগর বাদী হয়ে হয়ে আদালতে তার স্ত্রী নমিতা, নিজের ভাই পলাশ, ভাইবউ জয়ন্ত, শালা নরোত্তম, গৌতত,সোহাগ, কাকা শ্বসুর শ্যামা, কাকী শ্বসুরি,সবিতা,একলাজ এদের নামে ১০৭,১১৪,১১৭ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা করেন।
এ বিষয়ে নমিতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার স্বামীর কুপরামর্শে আশিষের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আশিষ নির্দোষ, তার কোন দোষ আমার চোখে নেই।
বিষয়টি নিয়ে নমিতার স্বামী টগরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর বলেন, বিষয়টি নিয়ে বনে মিমংসার কথা ছিলো। কিন্তু টগর পালিয়ে যাওয়ায় সেটি সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
Leave a Reply